
জুবায়ের আহমেদ, ক্রিকবল নিউজ:লর্ডসে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমেই ইতিহাস গড়ার সুযোগ ছিলো আয়ারল্যান্ডের সামনে, টসে জিতে ব্যাট করতে নামা স্বাগতিক ইংল্যান্ডকে মাত্র ৮৫ রানে অলআউট করে নিজেরা দূর্দান্ত শুরুর পরও ব্যাটিং ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি, তারপরও ২০৭ রানের সংগ্রহ গড়ার পর ইংল্যান্ডকে অল্পতে আটকে দিয়ে জয় তুলে নেওয়ার সুযোগ ছিলো আয়ারল্যান্ডের সামনে, সে সুযোগ করে নিয়েও চরম ব্যাটিং ব্যর্থতায় আড়াই দিনের মাথায় বড় পরাজয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছ আয়ারল্যান্ডকে।
লর্ডসে গত পরশু টসে জিতে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ডকে মাত্র ৮৫ রানে অলআউটের লজ্জা দেয় আয়ারল্যান্ড, দলের হয়ে ৫ উইকেট শিকার করেন, মুরতাগ। তারপর নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২ উইকেটে ১৩২ রান সংগ্রহ গড়ার পরও ইংলিশ বোলারদের তোপে পড়ে মাত্র ২০৭ রানেই শেষ হয় আয়ারল্যান্ডের ইনিংস, সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন ব্যালবার্নি, ৩৬ রান করেন স্টার্লিং। ইংল্যান্ডের হয়ে ব্রড, স্টোন ও কারেন ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।
নিজেদের ২য় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই চমক দেখায় ইংল্যান্ড, প্রথম দিনের শেষ সময়ে মাত্র ১ ওভারের জন্য ব্যাট করতে নামায় বোলার জ্যাক লিচকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় ইংল্যান্ড। ওপেনিংয়ে এসেই বাজিমাত করেন জ্যাক, ১৬২ বলে ৯২ রানের ইনিংস খেলেন তিনি, জো রুট ৭৮ বলে ৭২ ও শ্যাম কারেণ ৩৭ রান করলেও আইরিশ বোলারদের তোপে পড়ে ৩০৩ রানেই অলআউট হয় ইংল্যান্ড। এডায়ার ও থম্পসন ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।
৪র্থ ইনিংসে আয়ারল্যান্ডের সামনে টার্গেট দাঁড়ায় ১৮২ রানের। প্রথম ইনিংসে ২০৭ রান করা আয়ারল্যান্ড জয়ের জন্য ১৮২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ইংলিশ বোলারদের তোপে পড়ে মাত্র ৩৮ রানে অলআউট হয়ে ১৪৩ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে, অথচ লর্ডসে ইতিহাস গড়া হতো ১৮২ রান নিতে পারলেই। প্রথম দিন থেকেই জয়ের ভীত গড়া আইরিশরা ব্যাটিং ব্যর্থতায় পারেনি ইতিহাস গড়তে। আইরিশ ওপেনার ম্যাককলাম ১১ রান করা ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই দুই অংকের কোটা স্পর্শ করতে পারেননি, ক্রিস ওকস ৬ ও ব্রড ৪ উইকেট শিকার করেন উড়িয়ে দেন আইরিশদের, চারদিনের ম্যাচ আড়াই দিনেই নিস্পত্তি হয়।
বোলার হয়েও ব্যাট হাতে ক্যারিয়ার সেরা ৯২ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন জ্যাক লিচ। ইংলিশরা ২য় ইনিংসে ৩০৩ রান করলেও জ্যাক ও রোট ব্যতীত আর কোন ব্যাটসম্যানই রান পাননি। মূলত জ্যাকের ইনিংসের কারনেই বড় লজ্জা থেকে রেহাই পায় ইংল্যান্ড, সেই সাথে বিশ্বকাপে দূর্দান্ত বোলিং করা ওকস ৬ উইকেট শিকার করে আইরিশদের ১৮২ রানের টার্গেট ডিঙ্গাতে দেননি, অলআউট করেছেন মাত্র ৩৮ রানে, যা টেস্ট ক্রিকেটে ৭ম সর্বনিম্ন এবং রানের হিসেবে ৫ম সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার লজ্জা আইরিশদের। এর আগে ১৯৫৫ সালে মাত্র ২৬ রানে অলআউট হয়েছিল নিউজিল্যান্ড, যা এখনো টেস্ট ক্রিকেটে সর্বনিম্ন রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড।