।।আব্দুল হাকিম; ক্রিকবল।।
ক্রিকেট মানেই নতুনত্বের সৃষ্টি, ক্রিকেট মানে কল্পচিত্র পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। ক্রিকেট ভক্তানুরাগীদের কখনো হাসায়, আবার নাটকের চেয়েও নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী হয়ে অবলীলায় লোকদেরকে কাঁদায়। এর নাম বাইশগজের বল-ব্যাটের মহারণ, এর নাম ভালোবাসার ক্রিকেট। সবাই বলে ক্রিকেট অনিশ্চয়তার খেলা। যেখানে ক্ষণে ক্ষণে ঘুরে বেড়ায় অবিস্মরণীয় ঘটনা। এমনই এক অবিস্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী হলো পাল্লেকেলেতের মাটি।
আজ শ্রীলঙ্কা বনাম জিম্বাবুয়ের সিরিজের দ্বিতীয় ওডিয়াই অনুষ্ঠিত হয়। এতে সর্বপ্রথম জিম্বাবুয়ে টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় এবং লঙ্কান বোলারদের বিপক্ষে দুর্দান্ত শুরু করে জিম্বাবুয়ান দুই ওপেনার। ফলে পাওয়ার প্লেতে তাদের স্কোরবোর্ডে ৫৯ উঠে। পরে এক ওপেনার বিদায় নিলেও পরবর্তী ব্যাটার হিসেবে ক্রিজে এসে ভালো কিছুর জানান দেন জিম্বাবুয়ের ক্যাপ্টেন ক্রেগ এরভিন। কিছু সময় ক্রিজে থেকে এরভিন ও চাকাভা মিলে সলিড ব্যাটিং করে ধীরেধীরে বাড়াতে থাকেন স্কোরবোর্ডের প্রসস্থতা। পরে চাকাভা ও এরভিন আউট হলে শন উইলিয়ামস এবং শেষে সিকান্দার রাজা এসে জিম্বাবুয়ের স্কোরবোর্ডকে ভারি করে তুলে লঙ্কান বোলারদের বিপক্ষে চড়াও হয়ে। যার ফলশ্রুতিতে লড়াইয়ের জন্য ৩০২ রানের লড়াকু পুঁজি পায় জিম্বাবুয়ে।
বিশাল লক্ষ্যমাত্রাকে সামনে রেখে লঙ্কান দুই ওপেনার মাঠে নেমে শুরুতেই জিম্বাবুয়ের বোলারদের মোকাবেলায় হিমসিম খায়! যার ফলে ইনিংসের প্রারম্ভেই শ্রীলঙ্কাকে পরতে হয় বিপাকে। পরে মিডিল অর্ডারে নেমে কামিন্দু মেন্ডিস ও শানাকা ভালো কিছুর জানান দিলেও তাদের উইকেট যাওয়ার পর চামিকা করুনারাত্নে এসে শেষ পর্যন্ত পারেনি দলকে বিজয়ের স্বাদ এনে দিতে। যদিও এই ইনিংসে কামিন্দু তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি এবং শানাকা ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পায়।৩০৩ রানের লড়াইয়ে লঙ্কান ব্যাটাররা শেষ পর্যন্ত ২৮০ রানেই নিজেদের ইনিংসের পরিসমাপ্তি দেখেছে। যার ফলে জিম্বাবুয়ে পায় ২২ রানের জয়।
উল্লেখ্য, সিরিজে বর্তমানে উভয় টিম ১-১ সমতায় আছে। সিরিজের শেষ এবং শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ আগামী ২১ জানুয়ারি একই ভেন্যু পাল্লেকেলেতে অনুষ্ঠিত হবে।