নেপালের আন্তর্জাতিক ত্রিভূবন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে তিন জাতীয় টি-২০ টুর্নামেন্টের ফাইনালে পাপুয়া নিউ গিনিয়াকে ৫০ রানে হারিয়ে সিরাজ জয় করে নেপাল জাতীয় ক্রিকেট দল।
নেপাল, মালয়েশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনিয়াকে নিয়ে নেপালে অনুষ্ঠিত হয় তিন দেশের মধ্যকর টি-২০ সিরিজ। ২৮শে মার্চ শুরু হওয়া টুর্নামেন্ট শেষ হয় ৪ই এপ্রিল। সাতদিন চলে এই টুর্নামেন্ট। টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক নেপালের মুখোমুখি হয় সফরকারী পাপুয়া নিউ গিনি। টসে জিতে পাপুয়া নিউ গিনি নেপালকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় । নেপাল নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৮৩ রান তুলেন স্কোর বোর্ডে। যেখানে পাপুয়া নিউ গিনি ১৯.২ ওভারে ১৬৮ রানে অলআউট হয়ে যায় । এবং নেপাল ১৫ রানের জয় দিয়ে সিরিজের শুভ সূচনা করে। এর পরবর্তী কোন ম্যাচে নেপালকে আর হারাতে পারেনি মালয়েশিয়া ও পাপুয়া নিউ গিনি । সিরিজের তৃতীয় ও নেপালের দ্বিতীয় ম্যাচে মালয়শিয়ার বিপক্ষে ৬ উইকেটে জয় পায় নেপাল। ৩৮ বলে ৫৭ রান করে ম্যান অব দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হোন নেপালের ওপেনার আসিফ শেখ। নেপালের তৃতীয় ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিয়ার বিপক্ষে ৩৭ রানে নিজের তৃতীয় জয় তুলে নেয় নেপাল। সিরিজের ষষ্ঠ ও নেপালের চতুর্থ তম ম্যাচে মালয়শিয়ার বিপক্ষে নিজেদে চতুর্থ জয় পায় নেপাল । নেপালের মিডল-অর্ডার ব্যাটার দ্বিপন্দ্রার সিং ৬ ছক্কা ও ১০ চারের সাহায্যে ৫৭ বলে অপরাজিত ১১০ রান করে ম্যাচ সেরা হয়।
৪ এপ্রিল ফাইনাল ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিয়ার বিপক্ষে টসে হেরে ব্যাটিং করে নেপাল। দ্বিপন্দ্রার সিংয়ের অপরাজিতা ৩৮ বলে ৫৪ রানের সুবাদে নেপাল ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে। নেপালের কারন কে সি খেলেন এক টর্নেডো ইংনিস। কে সি ১২ বল খেলে করেন ৩৩ রান। দুই ওপেনারের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান । পাপুয়া নিউ গিনি ১৬৯ রানের টার্গেট ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পরে। সেই চাপ কাটিয়ে উঠতে পারেনি শেষ পর্যন্ত পাপুয়া নিউ গিনি । মিডল-অর্ডার ব্যাটার সিসি বাউ কিছুটা আশা দেখালেও শেষ পর্যন্ত কারন কে সির বলে অভিনাসের হতে ক্যাচ দিয়ে আউট হোন এবং নিউ গিনি পরাজয় নিশ্চিত হয়। সিসি বাউ ছাড়া চ্যালের্স অ্যামিনি দুই অংকের ঘরে রান তুলতে পারছেন। বাকি কেউ দুই সংখ্যার গড়ে রান তুলতে পারেনি। পাপুয়া নিউ গিনিকে ৫০ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় নেপাল।
নেপালের দ্বিপন্দ্রার সিং ৫ ইংনিস ব্যাট করে ৮৫ গড়ে ২৫৫ রান করে টুর্নামেন্ট সেরা এবং শেষ ম্যাচে অপরাজিত ৫৪ রান করে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হয় ।