জুবায়ের আহমেদ: ক্রিকেটটা দিন দিন ঘরের খেলায় পরিণত হচ্ছে তা স্পষ্ট ভাবেই বুঝা যাচ্ছে। বিগত ৬/৭ বৎসর যাবতই তা মহামারি আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ আর জিম্বাবুয়ে ছাড়া অপর ৮টি দলের যারাই স্বাগতিক তারাই সিরিজ জিততে এবং হোয়াইটওয়াশ করছে। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ একটু ব্যতিক্রম। বাংলাদেশ, জিম্বাবুয়ের মতোই ওরাও সিরিজ হেরে যায় প্রায় সময়। অপর ৭টি দল ঘরের মাঠে সফরকারীদের নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে। কিছুদিন আগে শেষ হওয়া অষ্ট্রোলিয়া শ্রীলংকা টেস্ট সিরিজ এবং ভারত ইংল্যান্ড টেস্ট সিরিজ, ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডকে হারানো তারই প্রমাণ।
চলতি আফ্রিকা সফরে শ্রীলংকা প্রথম টেস্ট হারার পর দ্বিতীয় টেস্টেও নিশ্চিত হারের মুখে। অষ্ট্রোলিয়া সফরে ৩ টেস্টের সিরিজ হোয়াইটওয়াশ হওয়ার পথে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড সিরিজে ওয়ানডেতে হেয়াইটওয়াশ হওয়ার পর টি২০ কিংবা টেস্টেও একই পরিণতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
ক্রিকেটপ্রেমীরা আজকাল আর নিজ দেশের খেলা ব্যতীত অন্য খেলা নিয়ে টেনশান করেন না অর্থাৎ যাদের মাটিতে খেলা, তারাই জিতবে, এটা আগে থেকেই বলে দেয়া যাচ্ছে। নিজ দেশের খেলা হলেও সেটা ব্যতিক্রম হয় না, তবে নিজের বলেই একটু বিশ্বাস রাখি আমরা যে, আমাদের দল জিতবে, কিন্তু ম্যাচশেষে সেই হারের অভিজ্ঞতাই বাড়ছে শুধু।
এর কারণ একটাই, স্বাগতিকরা নিজেদের সুবিধামতো উইকেট তৈরী করা। যার ফলে সফরকারী দলগুলো উইকেট এবং ভিন্ন কন্ডিশনের কারনে লাগাতর পরাজয়বরণ করে।
এ অবস্থা থেকে উত্তোরণের প্রয়োজন মনে করলে, এগিয়ে আসতে হবে আইসিসিকে। প্রতিটি দেশকে স্পোর্টিং উইকেট বানানোর তাগিদ দিতে হবে, প্রয়োজনে বাধ্যতামূলক আইন করে দিতে হবে। এতে করে খেলায় প্রতিদ্বন্ধিতা বাড়বে। চরম অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেট তার পুরনো গৌরব, ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারবে।